পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজরিডার মোস্তফা মিয়া জানান, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো সময় তা বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে।
ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে শেরপুর সদরের ৭ ইউনিয়ন, পৌরসভা একাংশ ও নকলা উপজেলার ২ ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের ৪০ গ্রামের অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
বাড়িঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের কুলুরচর-বেপারিপাড়া ও নতুন চর এলাকা এবং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চরবাছুর আলগী ও হাতিমারা এলাকার মানুষজন গবাদি পশু নিয়ে পাশের উঁচু স্থান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত কামারেরচর ও চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের বানভাসি মানুষের জন্য ৬ মেট্রিক টন করে ১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কামারেরচর ইউনিয়নের ৬০০ বানভাসি মানুষের মাঝে চাল-ডালসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।